একটু আগে বাবার আদরের মেয়ে অবনী পেয়ারা কাটতে যেয়ে বটিতে হাত কেটে ফেলেছে। সারা বাড়িতে এই নিয়ে হুলস্থূল কান্ড।হাত কেটে যাওয়ায় অবনী চিল্লিয়ে কাঁদতেছে,তার মা রক্ত দেখে অস্থির, তিনি উদভ্রান্তের মত এ ঘর থেকে ও ঘর দৌড়াচ্ছেন আর তার ছোট বোন কি করবে বুঝেই উঠতে পারছে না! অন্যদিকে অবনীর হাত থেকে ক্রমাগত রক্ত ঝরতেছে........বাসায় যে ক'জন আছে কারোরই প্রাথমিক চিকিৎসা সম্পর্কে তেমন কোন ধারণা নেই। এরকম ঘটনা কিন্তু শুধু অবনীর-ই না,আমাদের সবারই দৈনন্দিন জীবনে অনেক রকম দুর্ঘটনা ঘটে থাকে।এজন্য চিকিৎসা সম্পর্কে আমাদের জ্ঞান থাকা শুধু জরুরীই নয়,অপরিহার্য ও বটে।এখন প্রশ্ন হলো - প্রাথমিক চিকিৎসা কি? প্রাথমিক চিকিৎসা বা ফার্স্ট এইড (ইংরেজি: First aid): নির্দিষ্ট কোন ব্যক্তির শারীরিক অক্ষমতা, ক্ষতিগ্রস্ততা বা আঘাতপ্রাপ্তির প্রেক্ষাপটে সাধারণ জ্ঞানের উপর নির্ভর করে অস্থায়ী চিকিৎসাবিশেষ। প্রাথমিক চিকিৎসা কেন জরুরীঃ ১। আহত ব্যক্তির জীবন রক্ষা সম্ভব। ২। রােগী বা আহত ব্যক্তির অবস্থার অবনতি রােধ করা। ৩। আহতদের চিকিৎসায় সহযােগীতা করা। কথায় আছে,'সময়ের এক ফোঁড় অসময়ের দশ ফোঁড়'।সময় মত প্রাথমিক চিকিৎসা দিতে প
প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে আমাদের অনেকেরই তেমন কোন ধারণা নেই আর যেগুলো আছে সেগুলো ভ্রান্ত ধারণা, যা উপকারের চেয়ে ক্ষতিই করে অনেক বেশী। আমার একটা কাহিনি বলি,গতবছর হোস্টেলে বুয়া না আসাই আমি ভাতের মাড় ফেলতে যেয়ে হাত পুড়িয়ে ফেলি।তো গরম মাড় হাতে পড়তেই বেশ অনেকটা পুড়ে যায়।শুনতে খারাপ লাগলেও সত্য আমার ফার্স্ট এইড সম্পর্কে তেমন কোন ধারণা ছিল না,তো প্রথমে পানি ঢালছিলাম পোড়া যায়।এরপর আমার এক ফ্রেন্ড বলল বরফ দে,আরেকজন ডিমের সাদা অংশ, আরেকজন পেস্ট লাগাতে বলে।এই করতে করতে আমার হাতের বারোটা বেজে যায়। এরপর আমি যখন মেডিকেলে যায়, ডাক্তার দেখে তো সেই রাগ,'এটা আমি কি করে আনছি’,এমনকি নার্সরাও বলতেছে এটা কোন কাজ করছেন! তো আজকের পোস্টটা এজন্যই লেখা আমার আশেপাশের বহু মানুষ এই কাজ গুলো করতেছে না বুঝে। # পুড়ে গেলে কি করবেন ১।পানি ঢালবেন ২।পানি ঢালবেন ৩।পানি ঢালবেন (পানির তাপমাত্রা ১০-২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস হওয়া ভালো) বরফ দিবেন না,বরফ দিলে খুব দ্রুত ফোস্কা পড়ে যাবে। এরপর আপনার পোড়ার তীব্রতা বুঝে ডাক্তারের কাছে যাবেন,আর যদি তেমন না হয় তাহলেও ডিম,পেস্ট,মেয়োনিজ এসব লাগিয়েন না। ক্ষেত্রবিশেষে, ঘরোয়া নিরাময়ের জন্য এল